বৃহস্পতিবার, ২৮ জুলাই, ২০১৬

asropaser hata para mustafijur rahaman ar kada....

অস্ত্রোপাচার হতে পারে মুস্তাফিজুর রহমানের কাঁধে। চোটের ধরন সম্পর্কে আরো নিশ্চিত হতে আরেকবার এমআরআই করানো হবে মুস্তাফিজের বাঁ কাঁধে। তারপর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানায় বিসিবি।
বিসিবির সূত্রটি জানায়, ফিজকে নিয়ে বিন্দুমাত্র ঝুঁকি নেয়া হবে না। প্রয়োজনে অস্ত্রোপচার করা হবে বাঁহাতি এই পেসারের কাঁধে। গত নভেম্বরে জিম্বাবুয়ে সিরিজে বাঁ কাঁধে চোট পেয়েছিলেন মুস্তাফিজ। পুরোনো সেই চোটই নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে সাসেক্সে খেলতে গিয়ে। সঙ্গে নতুন কিছু জটিলতাও ধরা পড়েছে ইংল্যান্ডে করা এমআরআইতে।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যায় ইংল্যান্ডে চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করেছেন মুস্তাফিজ। বুধবার বিসিবিতে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মিডিয়া কমিটির প্রধান জালাল ইউনুস জানালেন, মুস্তাফিজকে নিয়ে খুবই সতর্ক বিসিবি।
‘ওর কাঁধে বাড়তি কিছু লিকুইড জমে আছে। আরেকটি এমআরআই করানো হবে ওখানে।  এরপর বুঝতে পারব আমাদের করণীয়। ইনজেকশন দেয়া হবে নাকি অপারেশন, সেটা জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। ওখানকার চিকিৎসকদের মতামত শুনব আমরা, আমাদের ফিজিও-ডাক্তাররা তো আছেনই। এরপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
এই ধরনের চোটের চূড়ান্ত সমাধান করতে হলে অস্ত্রোপচারের বিকল্প নেই। তবে অস্ত্রোপচার করলে মাস ছয়েকের জন্য মাঠের বাইরে ছিটকে যেতে পারেন মুস্তাফিজ। কিন্তু অক্টোবরে ইংল্যান্ড সিরিজ থেকে আগামী জুলাই পর্যন্ত টানা খেলা মুস্তাফিজের। সেক্ষেত্রে এখনই অস্ত্রোপচার করানো হবে কিনা, সেই প্রশ্নও থাকছে।
জালাল ইউনুস জানালেন, পরিস্থিতি যেটা দাবি করবে, সে অনুযায়ীই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অস্ত্রোপচার প্রয়োজন হলে সেটাই করা হবে। পরিস্থিতি মতোই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মুস্তাফিজ আমাদের বড় এক সম্পদ। ওকে নিয়ে কোনো ঝুঁকিই নেয়া হবে না।
একই ধরনের কাঁধের চোট তামিম ইকবাল ও নাসির হোসেনেরও সঙ্গী। তবে তাদের ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচার ছাড়াই চলছে কাজ। সেটির ব্যাখ্যাও দিলেন জালাল ইউনুস। তিনি বলেন, ‘তামিম ও নাসির মূলত ব্যাটসম্যান। নাসির বোলিং করলেও মূল বোলার নয়। ওদের ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচার ছাড়াই ম্যানেজমেন্ট সম্ভব। কিন্তু মু্স্তাফিজ পেসার, কাঁধের ওপর অনেক চাপ পড়ে। এই ইনজুরি যে কোনো সময়ই মাথাচাড়া দিতে পারে।’  বিডি নিউজ

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন